যতদিন প্রয়োজন ফেসবুক বন্ধ থাকবে
নিজস্ব প্রতিবেদক
সাময়িকভাবে বন্ধ থাকা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার, হোয়াট’স অ্যাপ ও ভাইবার যারা বিকল্প পথে ব্যবহার করছেন, তারা সরকারের নজরদারিতে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। সীমিত ব্যবহারকারী বলে তাদের ওপর নজর রাখা সরকারের জন্য সহজ হচ্ছে।
আজ শনিবার দুপুরে ‘মোবাইল ডিভাইসেস অ্যান্ড ইটস রোল ইন ন্যাশনাল সিকিউরিটি’ বিষয়ে রাজধানীর একটি হোটেলে এক বৈঠকের আয়োজন করে টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক, বাংলাদেশ (টিআরএনবি)। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেয়ার সময় তিনি এ কথা বলেন।
গত বুধবার থেকে ফেসবুক,ভাইবার,হোয়াট’স অ্যাপ, টুইটার, ইমো সহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ করে দেয় সরকার।
তিনি বলেন, ফেসবুক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম খোলা হবে কবে- এমন প্রশ্ন রয়েছে। এছাড়া কেউ কেউ বিকল্প পথে এসব ব্যবহার করছে জানিয়ে অন্যদের ভোগান্তিতে ফেলার কারণও জানতে চাচ্ছেন। কিন্তু তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, দেশের বৃহত্তর স্বার্থে নিরাপত্তার খাতিরে সাময়িকভাবে মাধ্যমগুলো বন্ধ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থেই এসব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ রাখা হয়েছে। তারপরেও অনেকেই বিকল্প উপায়ে ফেসবুক সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলো ব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।’
তারানা হালিম আরও বলেন, প্যারিসেও বন্ধ করা হয়েছে বিভিন্ন মাধ্যম। কিন্তু তারা উষ্মা প্রকাশ করছে না। বড় কোনো বিপদ ঘটে যাওয়ার পরে বন্ধ করে কী হবে? আগে থেকেই একটু প্রস্তুতি রাখা ভালো। দেশের স্বার্থে তরুণ শিক্ষার্থীরা আশা করি এ অসুবিধাটি মেনে নেবেন।
ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগের এসব মাধ্যম কবে খোলা হবে- সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জনস্বার্থ ও জননিরাপত্তার স্বার্থে যতদিন বন্ধ থাকা প্রয়োজন, ততদিন বন্ধ থাকবে এসব মাধ্যম। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যখন বলবে, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা গেছে, তখন এসব যোগাযোগ মাধ্যম খুলে দেওয়া হবে।
বৈঠকে অংশ নেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ, কাস্টমস ইন্টিলিজেন্স অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশনর ডিরেস্টর জেনারেল ড. মঈনুল খান, র্যাবের কমিউনিকেশন উইং পরিচালক কমান্ডার শাহেদ করিম, লার্ন এশিয়ার সিনিয়র পলিসি ফেলো আবু সাইদ খান, ইনভিকোর সিইও ফাওয়াদ গোরায়ের, বিটিআরসির স্পেকট্রাম ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক লে. কর্নেল মোল্লা মো. জুবায়ের, র্যাব-১০ এর কমান্ডিং অফিসার জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার (ডিবি) মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।
প্রতিক্ষণ/এডি/এফটি